Scan barcode
thefable's review
2.0
A complex representation of already complicated human psyche. Personally didn't enjoy much.
dvaruas's review
2.0
বুদ্ধদেব বসুর লেখা পড়ার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল, সেটা অবশেষে পূরণ হলো। লেখার স্টাইল খুব ভালো আর খুব ঝরঝরে ভাষা - বইটির মধ্যে দিয়ে তা বেশ পরিপূর্ণ ভাবেই ফুটে উঠেছে। তবে, তা ছাড়া বইটা হয়তো আমার খুব ভালো লাগেনি। তার একটাই কারণ, লেখকের গল্পের প্রতি যত্নের অভাব।
মাত্র দুটো চরিত্রের সম্পর্ক নিয়ে লেখক কাটাছেঁড়া করেছেন, আর এই দুটো চরিত্রকে তিনি দিয়েছেন ভরপুর সময়। কিন্তু এই সম্পর্ক ঘিরে যে আরো চরিত্র আছে তাদের প্রতি লেখক বেজায় অবহেলা দেখিয়েছেন। আমার অনেক বেশি ইচ্ছে ছিল জানার যে এরম একটা toxic environment এর প্রভাব বিন্নির ওপর কি পরছে৷ তার বয়েস আট, তাই একদম বাচ্ছা সে নয়! তার জীবনে কি ঘটছে, সে জয়ন্ত কাকু, মা-বাবা সম্বন্ধে কি ভাবছে, এগুলো জানতে পারলে ভালো হতো। তা ছাড়া জয়ন্তর একটু ব্যাকস্টোরি কি ভালো লাগতো না, তার মোটিভেশন কি এই পরকিয়ার পেছনে? এমনকি ইন্দ্রাণী চরিত্রটা তো হঠাৎ যেন পাতা থেকে উধাও হয়ে গেলো। হয়তো লেখক এরম ভাবেই ভেবেছিলেন, যে এভাবেই লিখবেন৷ সেই অভিপ্রায় সফল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শেষের দিকে অনেক গ্যাদগ্যাদে মনলোগ হয়ে গেছে। একটু হতাশ হয়েছি৷ এ সব দিক দিয়ে আমার শীর্ষেন্দু-সুনীলকে অসাধারণ লাগে, কারণ ওনারা যানেন গল্পের গতি বজায় রাখতে। সম্পর্কের গল্প নাহলে মিইয়ে যায়। এটা তো নভেল, একাডেমিক থিসিস তো আর নয়।
বইটা খারাপ না৷ কঠিন বাস্তবকে বেশ ভালো ভাবে তুলে ধরেছে। একজন নারী-পুরুষের সম্পর্কের ভাঙনের বৃত্তান্ত ও তার বিশ্লেষণ সত্যিই অসাধারণ! এরম ধরণের গল্পে তো আমাদের বাঙালি সাহিত্যিকরা PhD করেছেন,
মাত্র দুটো চরিত্রের সম্পর্ক নিয়ে লেখক কাটাছেঁড়া করেছেন, আর এই দুটো চরিত্রকে তিনি দিয়েছেন ভরপুর সময়। কিন্তু এই সম্পর্ক ঘিরে যে আরো চরিত্র আছে তাদের প্রতি লেখক বেজায় অবহেলা দেখিয়েছেন। আমার অনেক বেশি ইচ্ছে ছিল জানার যে এরম একটা toxic environment এর প্রভাব বিন্নির ওপর কি পরছে৷ তার বয়েস আট, তাই একদম বাচ্ছা সে নয়! তার জীবনে কি ঘটছে, সে জয়ন্ত কাকু, মা-বাবা সম্বন্ধে কি ভাবছে, এগুলো জানতে পারলে ভালো হতো। তা ছাড়া জয়ন্তর একটু ব্যাকস্টোরি কি ভালো লাগতো না, তার মোটিভেশন কি এই পরকিয়ার পেছনে? এমনকি ইন্দ্রাণী চরিত্রটা তো হঠাৎ যেন পাতা থেকে উধাও হয়ে গেলো। হয়তো লেখক এরম ভাবেই ভেবেছিলেন, যে এভাবেই লিখবেন৷ সেই অভিপ্রায় সফল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শেষের দিকে অনেক গ্যাদগ্যাদে মনলোগ হয়ে গেছে। একটু হতাশ হয়েছি৷ এ সব দিক দিয়ে আমার শীর্ষেন্দু-সুনীলকে অসাধারণ লাগে, কারণ ওনারা যানেন গল্পের গতি বজায় রাখতে। সম্পর্কের গল্প নাহলে মিইয়ে যায়। এটা তো নভেল, একাডেমিক থিসিস তো আর নয়।
বইটা খারাপ না৷ কঠিন বাস্তবকে বেশ ভালো ভাবে তুলে ধরেছে। একজন নারী-পুরুষের সম্পর্কের ভাঙনের বৃত্তান্ত ও তার বিশ্লেষণ সত্যিই অসাধারণ! এরম ধরণের গল্পে তো আমাদের বাঙালি সাহিত্যিকরা PhD করেছেন,
survibingbybooks's review
2.0
মাথা টা জ্যাম হয়ে আছে।অনেক শক্তিশালী লেখনী বই এর।কিন্তু বিষয়বস্তু............
মানুষের সম্পর্ক নিয়ে হয়তো মানুষ নিজেও নির্জন সময়ে এমন ই ভাবে।কিন্তু এগুলো শুধু অলস মনের ই চিন্তা।এর কোনো অর্থ হয় না।কোনো ফল হয় না।
মালতী আর জয়ন্তর সম্পর্ক ঠিক নাকি ঠিক না এই নিয়ে যুক্তি তর্ক করার কোনো মানে হয় না।সংসারে অসুখী মানুষের জীবনে হয়তো এমন ঘটনা অহরহ হচ্ছে কিন্তু একে যুক্তি দিয়ে কখনোই প্রতিষ্ঠিত করতে যাওয়া অসম্ভব।
মানুষের সম্পর্ক নিয়ে হয়তো মানুষ নিজেও নির্জন সময়ে এমন ই ভাবে।কিন্তু এগুলো শুধু অলস মনের ই চিন্তা।এর কোনো অর্থ হয় না।কোনো ফল হয় না।
মালতী আর জয়ন্তর সম্পর্ক ঠিক নাকি ঠিক না এই নিয়ে যুক্তি তর্ক করার কোনো মানে হয় না।সংসারে অসুখী মানুষের জীবনে হয়তো এমন ঘটনা অহরহ হচ্ছে কিন্তু একে যুক্তি দিয়ে কখনোই প্রতিষ্ঠিত করতে যাওয়া অসম্ভব।
forlorn_traveller's review
emotional
reflective
sad
tense
medium-paced
- Plot- or character-driven? Character
- Strong character development? No
- Loveable characters? It's complicated
- Diverse cast of characters? No
- Flaws of characters a main focus? It's complicated
5.0
shimin_mushsharat's review
5.0
তিন-চারদিন আগে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'হে আমার বিষন্ন সুন্দর' কবিতার দু'লাইন চোখে পড়ে। তখন থেকে মনে মনে আওড়ে যাচ্ছি : 'হে আমার বিষন্ন সুন্দর/দু’চোখে ভাঙন নিয়ে কেন এই রুক্ষ দুঃসময়ে এলে'। 'রাত ভ'রে বৃষ্টি' পড়লাম অল্প সময়ে, রুদ্ধশ্বাসে। কোনো লাইন আন্ডারলাইন করার দেরিটুকুও করিনি। শুধু এই লাইনটা—'কিন্তু একটা কথা ঠিক জেনো; ছেঁড়া তার আর জোড়া লাগবে না, হারানো সুর ফিরে পাবে না কখনো—' এই লাইনটা অনেকবার পড়তে হলো। বইটা একবার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো একবার পড়ার প্রয়োজন হলো। সবচেয়ে যা যত্নের, অসাবধানে তার হাত ফস্কে যাওয়াই বোধকরি চিরন্তন নিয়ম।
__offsetpaper__'s review
3.0
বইয়ের প্রচ্ছদ দেখেই আর পড়তে ইচ্ছে করছিল না, কিন্তু এই বইটার অনেক প্রশংসা শুনেছিলাম। একদম ছোট্ট একটা বই, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস, তাই কথাবার্তা বেশ গভীর। অশ্লীলতার অভিযোগে আদালত পর্যন্ত গড়ায় এই বইটি। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হওয়া এই উপন্যাসটি তিন বছর পর ভারত সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। আদালত কর্তৃক প্রতিটি কপি জ্বালিয়ে দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়।
মালতী ও নয়নাংশুর অর্ধবছরের ছোট্ট সাজানো-গোছানো দাম্পত্যজীবন। কিন্তু তাদের এই জীবনে হুট করে চলে আসে জয়ন্ত। জয়ন্তের সাথে প্রথম কয়েক সাক্ষাতে তেমন কিছু না হলেও হুট করে তার প্রেমে পড়ে যায় মালতী৷ এরপর শুরু হয় নিজের সাথেই তার টানাপোড়েন। নয়নাংশু অ্যার মালতীর প্রেমের বিয়ে হলেও তারা দুইজন অনেক আলাদা। নয়নাংশু চাইতো মালতীকে নিজের তৈরি ছাঁচে গড়ে তুলতে, আর মালতী চাইতো একজন কাছের বন্ধু। কিন্তু কেউই কারো পছন্দমতো হয়ে উঠতে পারেনি। ধীরে ধীরে এসব না পাওয়া দীর্ঘ আক্ষেপ ও হতাশায় পরিণত হয়। সম্পর্কটাও যেন শুধু সমাজে নিজেদের মুখ রক্ষা করে চলা, একটা অভিনয়। দাম্পত্যজীবনের জটিলতা খুব সহজেই মেটানো যায় না। বইটার মাঝে ফুটে ওঠেছে মানব মনের চাহিদা, শরীরে ক্ষুদা। এখানে দেখানো হয়েছে যে এত বছর ধরে সংসার করলেও ধীরে ধীরে মালতী ও নয়নাংশুর সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে যায়৷ তাদের চিন্তাভাবনা আলাদা, জীবন-দর্শনও আলাদা। এরপর জয়ন্তের সাথে সে যখন প্রেমে জড়ায়, তখন তার মধ্যে অতো লজ্জাও কাজ করে না। নয়নাংশু সব বুঝেও চুপ করে থাকে। তার মনে হয় পুরুষ মানুষের বোধহয় এটাই করা উচিত।
একটা সম্পর্কের ভিত হচ্ছে বিশ্বাস, আর বিয়ের মতন আজীবনের বন্ধনে যদি ভিতটাই নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টকর। বিয়ের ১২ বছর হয়ে গেছে মানে এই না যে আরো ১২ বছর একসাথে থাকার সার্টিফিকেট হাতে চলে এসেছে। বইয়ে একটা লাইন আছে, "স্বামী স্ত্রী সবসময় একসাথে থাকতে হয় বলে গড়মিলগুলো সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে।" আসলে ভালোবাসায় গুরুত্ব কমলে দূরত্বটাও সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে। তেমন আহামরি ভালো লাগেনি, শেষটুকুও কেমন জানি ধোঁয়াটে।
মালতী ও নয়নাংশুর অর্ধবছরের ছোট্ট সাজানো-গোছানো দাম্পত্যজীবন। কিন্তু তাদের এই জীবনে হুট করে চলে আসে জয়ন্ত। জয়ন্তের সাথে প্রথম কয়েক সাক্ষাতে তেমন কিছু না হলেও হুট করে তার প্রেমে পড়ে যায় মালতী৷ এরপর শুরু হয় নিজের সাথেই তার টানাপোড়েন। নয়নাংশু অ্যার মালতীর প্রেমের বিয়ে হলেও তারা দুইজন অনেক আলাদা। নয়নাংশু চাইতো মালতীকে নিজের তৈরি ছাঁচে গড়ে তুলতে, আর মালতী চাইতো একজন কাছের বন্ধু। কিন্তু কেউই কারো পছন্দমতো হয়ে উঠতে পারেনি। ধীরে ধীরে এসব না পাওয়া দীর্ঘ আক্ষেপ ও হতাশায় পরিণত হয়। সম্পর্কটাও যেন শুধু সমাজে নিজেদের মুখ রক্ষা করে চলা, একটা অভিনয়। দাম্পত্যজীবনের জটিলতা খুব সহজেই মেটানো যায় না। বইটার মাঝে ফুটে ওঠেছে মানব মনের চাহিদা, শরীরে ক্ষুদা। এখানে দেখানো হয়েছে যে এত বছর ধরে সংসার করলেও ধীরে ধীরে মালতী ও নয়নাংশুর সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে যায়৷ তাদের চিন্তাভাবনা আলাদা, জীবন-দর্শনও আলাদা। এরপর জয়ন্তের সাথে সে যখন প্রেমে জড়ায়, তখন তার মধ্যে অতো লজ্জাও কাজ করে না। নয়নাংশু সব বুঝেও চুপ করে থাকে। তার মনে হয় পুরুষ মানুষের বোধহয় এটাই করা উচিত।
একটা সম্পর্কের ভিত হচ্ছে বিশ্বাস, আর বিয়ের মতন আজীবনের বন্ধনে যদি ভিতটাই নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টকর। বিয়ের ১২ বছর হয়ে গেছে মানে এই না যে আরো ১২ বছর একসাথে থাকার সার্টিফিকেট হাতে চলে এসেছে। বইয়ে একটা লাইন আছে, "স্বামী স্ত্রী সবসময় একসাথে থাকতে হয় বলে গড়মিলগুলো সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে।" আসলে ভালোবাসায় গুরুত্ব কমলে দূরত্বটাও সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে। তেমন আহামরি ভালো লাগেনি, শেষটুকুও কেমন জানি ধোঁয়াটে।
bluets001's review
5.0
রক্তমাংসে গড়া শরীরের তাগিদকে শত চেষ্টাতেও দমিয়ে কি রাখা যায়? ভ্রান্তি আর মায়াজাল কেবল আমরা মন বলে যা নিয়ে খেলে বেড়াই- তারই। শরীর কি আর মিথ্যের ছলনায় ডুব দিতে জানে?
More...