Take a photo of a barcode or cover
sharika 's review for:
The Colorado Kid
by Stephen King
এপ্রিল, ১৯৮০ --
মেইনের উপকূলের অদূরবর্তী দ্বীপ। স্থানীয় দুই কিশোর-কিশোরী হ্যামক বীচে আবিষ্কার করলো একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তির মৃতদেহ। ট্র্যাশ ক্যানের গায়ে হেলান দিয়ে থাকা লোকটিকে দেখে প্রথমে তারা বুঝতে পারছিলো নি সে মৃত না কি জীবিত, পরিস্থিতি বোঝার জন্য কাঁধ ধরে ঝাঁকাতে যেতেই শক্ত হয়ে যাওয়া দেহটিতে মৃত্যুর সব চিহ্ন খেয়াল করলো তারা।
খবর পাওয়ার পর অনতিবিলম্বে হাজির হলো চিকিৎসক, পুলিশ আর স্থানীয় সংবাদপত্র "ডেইলি আইল্যান্ডার" এর ডেভ বাউয়ি এবং ভিন্স টিগ। জানা গেলো মৃত ব্যক্তি হ্যামক বীচে পড়ে রয়েছে অন্তত কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে গলায় মাংসের টুকরা আটকে শ্বাসরোধ।
ঘটনাটিতে অন্য কারো হাত থাকা সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়, তারপরেও সব হিসেব যেন মিলছিল না। এদিকে মৃত ব্যক্তির পরিচয় কেউ জানে না। তার সাথে একটি বস্তুও নেই যা দিয়ে পরিচয় নির্ধারণ করা যাবে। কোথা থেকে এলো সে?
বর্তমানকালঃ
ডেভ এবং ভিন্স এর আন্ডারে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছে স্টেফানি ম্যাকক্যান। বিভিন্নভাবে স্টেফানির দক্ষতা আর বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা নিচ্ছে দু'জনে। কথায় কথায় হ্যামক বীচের সেই ঘটনায় ফিরে গেলো তারা। শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল রহস্যের সমাধান?
পাঠ-প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্যঃ
বইয়ের পরিশেষের অংশ থেকে জানা যায় "The Colorado Kid" বাস্তব জীবনের একটি ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। চল্লিশের দশকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে একজন ইউরোপীয়ান ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে বের করতে পারছিল না লোকটি কে। অমীমাংসিত এই কেসটির আদলেই লেখা হয়েছে দ্য কলোরাডো কিড।
টিপিক্যাল মিস্ট্রি নভেলের মতো রহস্যের আবির্ভাব, চতুর সমাধান আর সমাপ্তি আশা করে পড়তে বসলে হতাশ হবেন। এই বই সম্ভবত কিং পরীক্ষামূলক লেখা হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন - যারা Friedrich Durrenmatt-এর "The Pledge" পড়েছেন, তারা বুঝতে পারবেন। জগতে সব রহস্যের সমাধান হয় না, উপন্যাসের পাতাতেই হয়। বাস্তবের সাথে মিল রাখতে গেলে অনেক আনসলভড মিস্ট্রি বইতে আসবে - পাঠকরা সেটা পড়তে চাইবে না। কারণ সকলে খোঁজে পরিষ্কার সমাপ্তি, বাস্তব জীবনে সেটা হোক বা নাই হোক। সেজন্য কলোরাডো কিড এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।
"The Pledge", "Sadie" এ ধরণের বই যাদের ভালো লেগেছে তারা নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন। দৈর্ঘ্যে ছোট হওয়ায় একবসায় পড়ে ফেলা যায়। বইয়ের ঘটনার উপর লুজলি বেইজড একটি টিভি সিরিজ রয়েছে "Haven" নামে।
মেইনের উপকূলের অদূরবর্তী দ্বীপ। স্থানীয় দুই কিশোর-কিশোরী হ্যামক বীচে আবিষ্কার করলো একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তির মৃতদেহ। ট্র্যাশ ক্যানের গায়ে হেলান দিয়ে থাকা লোকটিকে দেখে প্রথমে তারা বুঝতে পারছিলো নি সে মৃত না কি জীবিত, পরিস্থিতি বোঝার জন্য কাঁধ ধরে ঝাঁকাতে যেতেই শক্ত হয়ে যাওয়া দেহটিতে মৃত্যুর সব চিহ্ন খেয়াল করলো তারা।
খবর পাওয়ার পর অনতিবিলম্বে হাজির হলো চিকিৎসক, পুলিশ আর স্থানীয় সংবাদপত্র "ডেইলি আইল্যান্ডার" এর ডেভ বাউয়ি এবং ভিন্স টিগ। জানা গেলো মৃত ব্যক্তি হ্যামক বীচে পড়ে রয়েছে অন্তত কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে গলায় মাংসের টুকরা আটকে শ্বাসরোধ।
ঘটনাটিতে অন্য কারো হাত থাকা সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়, তারপরেও সব হিসেব যেন মিলছিল না। এদিকে মৃত ব্যক্তির পরিচয় কেউ জানে না। তার সাথে একটি বস্তুও নেই যা দিয়ে পরিচয় নির্ধারণ করা যাবে। কোথা থেকে এলো সে?
বর্তমানকালঃ
ডেভ এবং ভিন্স এর আন্ডারে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছে স্টেফানি ম্যাকক্যান। বিভিন্নভাবে স্টেফানির দক্ষতা আর বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা নিচ্ছে দু'জনে। কথায় কথায় হ্যামক বীচের সেই ঘটনায় ফিরে গেলো তারা। শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল রহস্যের সমাধান?
পাঠ-প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্যঃ
বইয়ের পরিশেষের অংশ থেকে জানা যায় "The Colorado Kid" বাস্তব জীবনের একটি ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। চল্লিশের দশকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে একজন ইউরোপীয়ান ব্যক্তির মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে বের করতে পারছিল না লোকটি কে। অমীমাংসিত এই কেসটির আদলেই লেখা হয়েছে দ্য কলোরাডো কিড।
টিপিক্যাল মিস্ট্রি নভেলের মতো রহস্যের আবির্ভাব, চতুর সমাধান আর সমাপ্তি আশা করে পড়তে বসলে হতাশ হবেন। এই বই সম্ভবত কিং পরীক্ষামূলক লেখা হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন - যারা Friedrich Durrenmatt-এর "The Pledge" পড়েছেন, তারা বুঝতে পারবেন। জগতে সব রহস্যের সমাধান হয় না, উপন্যাসের পাতাতেই হয়। বাস্তবের সাথে মিল রাখতে গেলে অনেক আনসলভড মিস্ট্রি বইতে আসবে - পাঠকরা সেটা পড়তে চাইবে না। কারণ সকলে খোঁজে পরিষ্কার সমাপ্তি, বাস্তব জীবনে সেটা হোক বা নাই হোক। সেজন্য কলোরাডো কিড এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।
"The Pledge", "Sadie" এ ধরণের বই যাদের ভালো লেগেছে তারা নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন। দৈর্ঘ্যে ছোট হওয়ায় একবসায় পড়ে ফেলা যায়। বইয়ের ঘটনার উপর লুজলি বেইজড একটি টিভি সিরিজ রয়েছে "Haven" নামে।